গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা জানুন
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল। গর্ভাবস্থায় আরো বেশি সতর্ক থাকতে হয় মায়েদের। তখন সঙ্গে আরো একজনের দায়িত্ব নিতে হয় গর্ভবতী মায়েদের। একটি
প্রাণনিজের ভিতরে বড় করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা কোন সহজ কথা নয়। সে জন্য এসময় একজন মাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। ও ভালো খাবার খেতে হয়।ব্যবস্থা কলা খাওয়া খুবই জরুরী। কলাতে আছে অনেক পুষ্টি
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা জানুন
- গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় দিনে কয়টি কলা খাওয়া যাবে
- গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কেন জরুরি
- গর্ভাবস্থায় দিনে কয়টা কলা খাওয়া উচিত
- রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা জানুন
- অতিরিক্ত কলা খেলে কি ক্ষতি হয়
- গর্ভবতীদের নিয়মিত খাওয়া উচিত কলার মোচা
- লেখকের শেষ মন্তব্য
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে প্রয়োজনে কিছু আলোচনা আজকের এই আঁটিকেলে। গর্ভাবস্থায় মায়েরা অনেক দুশ্চিন্তায় থাকে। আর খাবার খেতেও হয় ভেবে চিন্তে। মায়েদের ভয় থাকে বাচ্চার যেন কিছু না হয়।সেজন্য একজন মাকে সচেতন থাকতে হয় গর্ভাবস্থায়। কোন খাবার খেলে বাচ্চার জন্য উপকার হবে এবং কোনটা খেলে ক্ষতি হবে এটা ভেবে মায়েদের খেতে হয়। গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে অনেক মায়েরা।
এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারলে সবচাইতে ভালো হয় আপনার জন্য। গর্ভাবস্থায় একটি ফল আপনার জন্য উপকারী হতে পারে। সেটি হল আমাদের সবার সুপরিচিত কলা। গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া খুবই জরুরী। আপনার মাথাব্যথা এসিডিটি ও ঘুম থেকে ওঠা নিশ্চয় কষ্টকর। তাই সতেজ এবং সুস্থ বোধ করার জন্য অবশ্যই এসব লক্ষণ কমানোর উপায় সন্ধান করতে হবে আপনাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে কলায় রয়েছে ভিটামিন পণ্য যা গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে বমি রোদ করতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় খাদ্য তালিকায় কলা যোগ করলে তা মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করে। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। যা স্বাস্থ্যেকর রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করে কলা। গর্ভাবস্থায় প্রায়ই রক্তচাপের উঠানামা হয় যা নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে সমাধান হয়। তাই খাবারে খেয়াল রাখুন। এসময় আপনার জন্য উপকারী ফালকলা। যা আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার অংশ ভুক্ত করে নিন। ও সন্তানের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যর উন্নতিতে সহায়তা করুন।
গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য। আয়রনের মাত্রা কম থাকা গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি প্রধান সমস্যা। সেখানে কলা কাজে আসে। কলায় প্রচুর আয়রন থাকায় শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খাদ্য প্রাকৃতিক আয়রন সম্পন্ন হিসেবে কাজ করে। তাই কলা আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এখন রাখা জরুরী প্রতিদিন। ভিটামিন বি ৬,আয়রন এবং ফলিক এসিড যা বাচ্চার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কলা।
উপকারী ফল কলায় এর এইসব উপাদানগুলি পাওয়া যায়। এই ফল আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যর উন্নতিতে অনেক উপকার ও উন্নতি করবে। গর্ভাবস্থায় অনেকের বুক জ্বালার সমস্যা দেখা দিতে পারে গর্ভবতী মায়েদের। যদি এ ধরনের উপসর্গ সম্পন্ন রূপে এড়ানো যায় না। তবে কলা খেলে তা খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীতে অম্লতার তাপমাত্রা কমিয়ে ও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি আপনাকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। তাই গর্ব অবস্থায় এ ধরনের সমস্যা কমাতে চাইলে নিয়মিত কাঁচা কলা খান।
বুকের জ্বালাপোড়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকেরই। বিশেষ করে খাবার পরপরই এই সমস্যা দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যা গুলি রাতে অনেক ওষুধের ব্যবস্থা হন গর্ভবতী মায়েরা। তাতে সাময়িক আরাম মেলে ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ভয় থেকেই যায়। তাই আপনারা ওষুধের বদলে খাবার তালিকায় রাখুন কলা। সহজে বুকে জ্বালাপোড়ার সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব কলা খেলে। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনার ছেলে হলে নাম রাখতে পারেন (রহমান)। আর মেয়ে হলে নাম রাখতে পারেন (মারিয়াম)।
গর্ভাবস্থায় দিনে কয়টি কলা খাওয়া যাবে
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা ও।গর্ভাবস্থায় দিনে কয়টি কলা খাওয়া যাবে চলুন জেনে নেই। গর্ভাবস্থায় খালি পেটে কলা খেলে কি হয় এ ব্যাপারটি হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। যে সমস্ত নারী অত্যন্ত রোগা বা পাতলা এবং গর্ব অবস্থায় পুষ্টিতে ভুগছেন। তাদের জন্য প্রতিদিন সকালে একটি করে কলা হতে পারে অত্যন্ত উপকারী খাবার। সেক্ষেত্রে পাকা কলা খাওয়া উত্তম। কলার সাথে হালকা দুধ ছেলে সেটি দেহে অনেক পুষ্টি যোগাবে যা আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
গর্ভাবস্থায়ী দিনে কয়টি কলা খাওয়া উচিত সেটি নির্দিষ্ট না। তবে অধিকাংশ পুষ্টিবিদরা মনে করেন গর্ভাবস্থায় দিনে ৩ থেকে ৪টি কলা গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার ভালো সময় হলো খালি পেটে থাকা অবস্থায়। এ সময় কলা খেলে কলার ভেতরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান গুলো পরিপূর্ণভাবে আমাদের দেহের উপকারে কাজে লাগে। পাকা কলা খালি খাওয়া যায়। তবে আপনি খেতে পারেন বেড রুটি দুধ বিস্কিট মাখন জুস সাথে মিক্স করে খেতে পারবেন।
গর্ভাবস্থায় মায়েদের জন্য একটি রূপান্তর মূলক যাত্রা যা। যা তাদের দেহের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন গুলির একটি সিরিজ দ্বারা চিহ্নিত। এই পরিবর্তন গুলির মধ্যে সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা। গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং এটি অপরিহার্য পুষ্টি যা খেলে আসে তা হলো ফাইবার।গর্ভাবস্থায় পানি সূন্যতা কাটাতে কাচা কলাও রান্না করে খাওয়া যায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য কতটা উপকারিতা আপনারা হয়তো জেনে গেছেন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কেন জরুরি
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা ও।গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কেন জরুরি। সাধারণ সময়ের থেকে মহিলাদের বেশি সচেতন ও সতর্ক হতে হয় গর্ভাবস্থায়।কারণ নিজের সঙ্গে সঙ্গে তখন আরেক জনেরও দায়িত্ব নিতে হয়।কারণ একটি প্রাণ নিজের ভিতরে বড় করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা কোন সহজ কথা নয়।আর এজন্য একজন ভবিষ্যৎ মাকে অনেক সতর্কতার সাথে থাকতে হয়।এজন্য মায়েদের চিন্তা হয় গর্ভের বাচ্চা কিভাবে সুস্থ রাখা যায়। কেমন খাবার খেলে গর্ভের বাচ্চা সুস্থ ও স্বাস্থবান হবে।গর্ব অবস্থায় মায়েদের ওষুধের থেকে পুষ্টিগুণ খাবারের বেশি প্রয়োজন হয়ে থাকে।
গর্ভাবস্থায় খাবারগুলো ভেবেচিন্তে খাওয়া উচিত।আপনার ভুল খাবারে আপনার গর্ভের বাচ্চা অসুস্থ হতে পারে।যে কারণে গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকে অনেক মায়েরা। এক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন। ও বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভাবস্থার সময়টা পাড় করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় অনেক ফলের চেয়ে একটি অন্যতম ফল হচ্ছে কলা। চলুন জেনে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া কেন জরুরি।
- মর্নিং সিকনেস দূর করেঃ মাথাব্যথা এসিডিটি ও আরো বিভিন্ন রকমের সমস্যা নিয়ে ঘুম থেকে ওঠা নিশ্চয়ই কষ্টকর। তাই সতেজ এবং সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই এসব লক্ষণ কমানোর উপায় সন্ধান করতে হবে। কারণ সুস্থ হীনতা দেহ অনেক কষ্টকর। বিশেষজ্ঞদের মতে কলায় ভিটামিন বি তে পরিপূর্ণ যা গর্ভাবস্থায় হযরত তালিকায় কলা রাখা অনেক জরুরী। খাদ্য তালিকায় কলা যোগ করলে তা মর্নিং সিকনেস কমাতে সাহায্য করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃকলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা স্বাস্থ্য ও রক্তচাপের তাপমাত্রা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় পায়ে রক্তচাপের উঠানামা হয়। যা নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে এড়ানো সম্ভব। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন উপকারী ফল কলা। এ সময় আপনার খাবারের অংশ করে নিন।মা সুস্থ থাকলে বাচ্চা অসুস্থ। তাই আজ থেকে আপনার খাদ্য তালিকায় কলা রাখতে ভুলবেন না।
- হিমোগ্লোবিন তাপমাত্রা অন্যতো করেঃকলাতে আয়রনের তাপমাত্রা কম থাকা গর্ভবতী নারীদের জন্য একটি প্রধান সমস্যা। আর এখানে কলা কাজে আসে। গলায় প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকায় তা শক্তির মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। খাদ্য প্রাকৃতিক আয়রন সম্পন্নক হিসেবে কাজ করে। তাই আপনার গর্ভাবস্থার সময় অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় রাখবেন।
- শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করেঃকলায় রয়েছে ভিটামিন বি ৬"আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যর বিকাশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। উপকারী ফল কলায় এর সবগুলোই পাওয়া যায়। তাই ফল আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করন এবং সন্তানের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যর উন্নতিতে সহায়তা করুন।
- বুক জ্বালা পোড়া কমায়ঃগর্ভাবস্থায় অনেকের বুক জ্বালার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদিও এ ধরনের উপসর্গ সম্পন্নরূপে এড়ানো যায় না।তবে কলা খেলে তা খাদ্যনালী এবং পাকস্থলীতে অস্লতার মাত্রা কমিয়ে রাখে। এটি আপনাকে কিছুটা স্বস্তি দেবে। তাই গর্ব অবস্থায় এ ধরনের সমস্যা কমাতে চাইলে নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ভালো থাকবেন আপনিও আপনার গর্ভের সোনামণি।
গর্ভাবস্থায় দিনে কয়টা কলা খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় দিনে কয়টা কলা খাওয়া উচিত।কলা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কি কি পুষ্টিগণ পাওয়া যাবে। তা সম্পর্কে জানুন আজকেরে আর্টিকেলে। কলাতে থাকা ফাইবার এবং প্রবায়োটিক,অলিগোস্যাকারাইজড মাত্রা অনেক বেশি রয়েছে যা আপনার হজমে অনেক সহায়তা করে। আপনি গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন পাকা কলা নিয়মিত খেলে অসংখ্য রোগবালাই থেকে মুক্তি পাবেন। পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন একটি মাঝারি সাইজের কলায় ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩ গ্রাম আশ ১৪ গ্রাম চিনি এবং ক্যালোরি ১০৫ থাকে।
পাকা কলা তে থাকা পুষ্টিগণ আমাদের ছেলের অনেক উপকারে আসে। আপনি নিয়মিত পাকা কলা খেলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। ও আপনার মস্তিষ্কের কার্যকর্ম বাড়ায়। গর্ভবতী মায়েদের ক্লান্তি ভাব করে ও রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এ পাকা কলা। কলা খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকার ঠিক তেমনি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে কলা না খেলে শরীরের জন্য তেমনি অপকার। ও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুইটা কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
তবে কলা যদি খুব বড় সাইজের হয় তাহলে ১টি মাঝারি সাইজের কলা হলে ২টি এবং খুব ছোট হলে প্রতিদিন তিনটি কলা খাবেন। সকালে হাঁটাহাঁটির আগে বা বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় কলা খাওয়া বেশি উপকার ও স্বাস্থ্যর জন্য ভালো। তবে আমরা অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকবো। কারণ সব খাবারই অতিরিক্ত শরীরের জন্য ভালো নয়। নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া উচিত। তো কলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
এতে শরীরের ক্লান্তি ভাব চলে আসে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে কলাতে থাকা অতিরিক্ত পটাশিয়াম আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত পটাশিয়াম আমাদের কিডনির ক্ষতি করে। আপনাদের কিডনির সমস্যা আছে তারা কলা না খাওয়াই ভালো মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সুস্থ থাকতে দিনে দুইটা কলা খাবেন। মনে রাখবেন সুস্থতার চেয়ে আর কোন বড় নিয়ামত এই পৃথিবীতে নেয়।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা জানুন
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা। পাকা কলা ফলের মধ্যেও অন্যতম একটি ফল। পাকা কলা স্বাদে ও অতুলনীয়। এ কলা আমাদের বাংলাদেশ প্রায় সবাই চাষ করে থাকি। এজন্য কলার দামও ক্রেতাদের হাতের নাগালে। দাম কম হলেও স্বাধের কমতি নেই এই ফল কলাতে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই কলা সারা বছরই মেলে কলা প্রেমিদের মাঝে। এই পাকা কলা উপকার সম্পর্কে আমরা উপরে পরে সবকিছুই জেনে এসেছি। তবে রাতে কলা খাওয়ার উপকার সম্পর্কে এখন জানবো।
- পাকা কলা খেলে পরিপূর্ণ ঘুম হয়। যাদের অনেক রাতেও ঘুম আসে না মানে যাদের ঘুমের সমস্যা আছে ও রাতে ভালোভাবে ঘুম হয় না তারা নিয়ম করে একটি করে পাকা কলা খাবেন প্রতিদিন তাহলে আপনার ঘুমের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে।
- রাতে পাকা কলা খেলে পেশির শীতলতা থাকে। বলাতে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন রাতে একটি করে পাকা কলা খাবেন।
- রাতে পাকা কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি হয়। পাড়াতে থাকা ফাইবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করতে সাহায্য করে।
- রাতে পাওয়া কলা খাওয়ার আরেকটু অন্যতম উপকার সে আমাদের শরীরের ক্লান্তি ধুর করে ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে রাতে আমাদের শরীরে অনেক ক্লান্তি দেখা দেয়। এই ক্লান্তি দূর করে দিবে একটি পাকা কলা।
- আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এই পাকা কলা। রাতে আপনি একটি করে পাকা কলা খেলে হজম শক্তিতে বৃদ্ধি পায়। আমাদের অনেকেরই খাবার পর খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় না। খাবার হজমে অনেক সময় নাই। যাদের এই সমস্যা আছে তারা রাতে পাকা কলা খাবেন সমস্যার সমাধান পাবেন।
- রাতে পাকা কলা খাওয়ার ফলে শরীরের শক্তি যোগায়। নিয়মিত রাতে পাকা কলা খেলে আপনার শরীরে শক্তি সঞ্চালিত হবে দিগুন।
- এতোখন আলোচনা করলাম রাতে কলা খাওয়ার উপকার সম্পর্কে। তবে সবার ক্ষেত্রে কলা খাওয়া উচিত নয়। যেমন যাদের আছে এলার্জি, অ্যাজমা, সর্দি, ক্যাসি, গ্যাস্টিকের সমস্যা ও যাদের ডায়াবেটি আছে তারা রাতে কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ধন্যবাদ।
অতিরিক্ত কলা খেলে কি ক্ষতি হয়
অতিরিক্ত কলা খেলে কি ক্ষতি হয়। কলাতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকে। যা আমাদের শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ফাইবার, শর্করা ইত্যাদি। কলাতে বিভিন্ন উপাদান থাকায় কলাকে অন্যতম শক্তির উৎস বলা হয়। পাকা কলা খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে এনার্জি আসে দুর্বলতা দূর হয়। আমাদের চুল ও ত্বক ভালো রাখে।
কলা আমাদের কিডনি ভালো রাখতে প্রচুর সহায়তা করে। তবে কলায় এত উপাদান থাকলেও সেটি বেশি খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। অতিরিক্ত কলা খেলে কি কি ক্ষতি হয় চলুন বিস্তারিত জেনে আসি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
- পাকা কলা খেলে কিডনি ভালো থাকে। তবে যারা কিডনি রোগে ভুগছেন তারা পাকা কলাখাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ যাদের কিডনির সমস্যা আছে কলা খেলে তা বেড়ে যেতে পারে বা যায়।
- পাকা কলা তে থাকা টাইমারাইন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে।যা আমাদের মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। তাই যাদের মাইগ্রনের সমস্যা আছে তারা একটা কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- অতিরিক্ত পাকা কলা খেলে দেহে ক্লান্তি বোধ হয়। পাকা কলায় থাকা ট্রিপটোফ্যান অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। এই অ্যামাইনো এসিড আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং ক্লান্তি আসে। এতে আপনার শরীর দুর্বল হতে পারে।
- পাকা কলা খেতে সুস্বাদু হলেও। বেশি কলা খেলে আপনার দাঁতের অনেক ক্ষতি হয়।
- আমাদের মধ্যে যাদের এলার্জি, অ্যাজমা, সর্দি, কাশির, সমস্যা আছে অতিরিক্ত কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। তবে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে কলা খেতে পারেন।
- বর্তমান সময়ে আমাদের অনেকেরই ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। যাদের ডায়াবেটি আছে অত্যাধিক কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- অতিরিক্ত পাকা কলা খেলে পেট ফাপা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে।
- অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার শরীরের ওজন অনিয়মিত ভাবে বাড়তেই থাকবে।
অতিরিক্ত পাকা কলা খেলে আমাদের শরীর অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বিগরে যায়। তাই আমাদের সবার পাকা কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক অবলম্বন করা খুবই জরুরী। তবে প্রতিদিন নিয়ম করে ২টি কলা খাওয়া উপকার ও ৩টির বেশি নয়।তিনটির বেশি কলা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের পক্ষে অস্বাস্থ্যকর হতে পারে। তাই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো
গর্ভবতীদের নিয়মিত খাওয়া উচিত কলার মোচা
কানো গর্ভবতীদের নিয়মিত খাওয়া উচিত কলার মোচা। গর্ভাবস্থায় মায়েদের অনেক সচেতন অবলম্বন করতে হয়।তার সাথে সাথে স্বাস্থ্যকর খাবারো প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী মায়েদের সুস্বাস্থ্যর জন্য যেমন কাঁচা কলা অত্যন্ত উপকারী সবজি। তেমন কলার মোচা ও কোন অংশে কম যায় না। অনেক সহজেই গ্রামগঞ্জে কলার মোচা সংগ্রহ করা যায়। তাই আমরা যারা গ্রামে থাকি তারা কলার মোচা পুষ্টি কর বলে মনে করি না। গ্রামের লোকেরা কলার মোচা ফেলে দিয়ে থাকেন অনেকেই। তবে জানলে অবাক হবেন কলার মোচায় থাকা পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক উপকারী।
- আমাদের শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিনকে শক্তিশালী করতে কলার মোচার তুলনা হয় না। আমাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখতে বা রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কলার মোচা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- কলার মোচায় থাকা আয়রনের সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়োডিন, ভিটামিন এ থাকে।যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত উপকারী সবজি কলার মোচা।
- কলার মোচায় থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। ভিটামিন এ থাকার ফলে অকাল দৃষ্টিশক্তি হারানোর থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত কলার মোচা এই সবজি টি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন।
- গর্ভবতী মায়েদের গর্বে থাকা অবস্থায় শিশুর প্রায় ৭০ ভাগ মস্তিষ্কের গঠন হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়েদের ও গর্ভে থাকা শিশুর সুস্বাস্থ্যর জন্য নিয়মিত কলার মোচা খেতে হবে।
- যাদের ত্বক ও চুলের সমস্যা আছে তারা নিয়মিত কলার মোচা খেতে পারেন। কারণ টক ও চুল ভালো রাখতে এই সবজির আয়রন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কলার মোচায় থাকা ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আয়োডিন দাঁতের গঠনেও রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
- মেনোপজ বা নির্দিষ্ট বয়সে পরে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া মেয়েদের হাড় গঠন মজবুত করতে কলার মোচা এই সবজিটি অনেক উপকারী। বয়স্ক নারী ও পুরুষ ও বাড়ন্ত শিশু, খেলোয়ার বা যারা। শারীরিক পরিশ্রম অতিরিক্ত করে থাকেন তাদের জন্য এই সবজিটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে আপনারা মনে রাখবেন অতিরিক্ত কোন কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না।
লেখকের শেষ মন্তব্য
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষন আমরা জানলাম। গর্ভবতী মায়েদের জন্য আজকের এই স্বাস্থ্য সম্পর্কে। আর্টিকেল টি সম্পূর্ণভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে লেখা হয়েছে। আশা করি সকল গর্ভবতী মায়েরা আর্টিকেল টি পড়ে উপকৃত হবেন। শুধুমাত্র গর্ভবতী মায়েদের সুরক্ষিত সুস্বাস্থ্য তার জন্য এই ওয়েবসাইটটি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাবে। আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্যই আমার এই ওয়েবসাইটটি স্থাপন করা হয়েছে।
আমরা এই আর্টিকেল টি পড়ার প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আটিকেলটি পরে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এরকম স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরো আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
ওয়েভারগোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url