বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যাই
গর্ভাবস্থায় মায়েরা জানতে চাই যে। বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায়। আসলে এই সময় মায়েরা খুব চিন্তায় থাকে। যে সিজার করলে ভাল হয় না নরমালে ডেলিভারি হলে ভালো হয়।আজকে আপনার সব উত্তর দিয়ে দিলাম। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে
সংরক্ষিত ছবি
ভুলে ও এই সিদ্ধান্ত নিবেন না। নিলে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। সব মায়েরা চাই বাচ্চা সুস্থ ও নিরাপদ ভাবে জন্ম হয়। আমাদের কিছু ভুল সিদ্ধান্তর জন্য বাচ্চার জন্মের সময় ক্ষতি হয়। আমরা এসব বিষয়ে নিয়ে নিচে আলোচনা করলাম।বাচ্চার ভালো জন্য
সূচি পত্রঃ বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যাই
বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায়
গর্ভবতী মায়েদের প্রশ্ন যে বাচ্চার ওজন কত হলে সিজার করা যায়। আসলে বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি হলে সিজার এন্ড সেকশন বা ডেলিভারি হক করতে পারবেন। ২.৫ কেজির কম হলে অবশ্যই আইওইজার বাচ্চা অথবা ছোট বাচ্চা। যদি কনো কারনে বাচ্চার সময় ৩৭,৩৮ সপ্তাহ হয়ে গেছে। কিন্তুু বাচ্চার ওজন বাড়েনা সেটাকে আমরা বলবো আইওজিয়ার।আর একটা হতে পারে বাচ্চা এখনো ৩৩.৩৪ সপ্তাহে। বাচ্চার ওজন ঠিক আছে কিন্তুু পরিপূর্ণতা পায়নি।
দুইটা বিষয়ে আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে আমরা ভালো শনুলোজিস্ট্রি আলট্রা করিয়ে। মোটামুটি একটা বাচ্চার এজেন্সান করে বাচ্চার ওজন ২.৫. কেজি হয়েছে কিনা বা বাচ্চার শরিরে ব্লাডফ্লু হচ্ছে কি না। দেখে আমরা সিজারের জন্য পিপারেশন নিবো। গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কারো কথায় কান দিবেন না। এতে বাচ্চা ঝুঁকিতে পরতে পারে। অনেক মায়ের প্রথম বাচ্চা নরমালে ডেলিভেরী হয়েছে।কিন্তুু দ্বিতীয় প্রেগনেন্সিতে চিন্তা করে যে।
নরমালে ডেলিভারি করাবে না সিজারে। আসলে আগের বাচ্চা টা নরমাল হলে আপনার সময় অনুযায়ী এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে পারেন।যদি বাচ্চার মুভমেন্ট টিক টাক থাকে। এই সাত দিন আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আপনার আগের বাচ্চা নরমালে হয়েছে। তখন হয়তো আপনার সব কিছু নরমাল ছিলো তাই। এই বাচ্চার ওজনের সাথে আপনার সবকিছু স্বাভাবিক আছে কি না সেটা ও দেখতে হবে। তার মানে আপনার ইন্টারনাল এক্সামিনেশন মধ্যেমে আপনার।
জরায়ু মুখের অবস্থানের সাথে বাচ্চার অবস্থান টা দেখতে হবে। তার সাথে যদি বাচ্চার মুভমেন্ট টিক থাকে তাহলে ডেটের পরে সাত দিন অপেক্ষা করতে পারেন নরমাল ডেলিভারি জন্য। আপনার ডক্টরের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে দেখবেন যে আপনি সাত দিন অপেক্ষা করতে পারেন কি না।
সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায়
আমরা প্রায় সবাই জানি ৩৮ থেকে ৪২ সপ্তাহে। একজন শিশুর গঠন পরিপূর্ণভাবে হয়ে যায়। আর এই সময় শিশু বাহিরে টিকে থাকার মত তৈরি হয়ে যায়। একজন গর্ভবতী মা হিসেবে আপনার যদি সিজার করার পরিকল্পনা থাকে। এ সময় আপনাকে যে প্রশ্নটা সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে আছে তা হল। সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে আপনি সিজার করাতে যায় বা পারবেন। সাধারণত গর্ব অবস্থায় ৩৯ তম সপ্তাহের আগে সিজার বা অপারেশনের মাধ্যমে।
জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন স্বাস্থর জটিলতার ঝুকি থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আপনি যদি সিজার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ৩৯ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখন স্বাভাবিকভাবে আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ৩৯ আগে সিজার করলে কি কি সমস্যা হতে পারে। এমন প্রশ্নের উত্তরে আমরা আপনাকে বলব। ৩৯ সপ্তাহের আগে সিজার করলে বাচ্চা শ্বাস নিতে কৃত্তিম সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে।
যার জন্য তাদের স্পেশাল কেয়ার ইউনিটে বা নিওনেটাল আই সি ইউ তে রাখা লাগতে পারে। এছাড়া ও বাচ্চা কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। তাছাড়া ও বাচ্চার বিকাশ জনিত সমস্যা হতে পারে। বাচ্চার বুদ্ধির বিকাশে ঘাটতি থাকতে পারে ইত্যাদি। এখন আপনি বলেন আপনি কতো সপ্তাহে সিজার করার পরিকল্পনা করছেন। এখন কথা হচ্ছে এই সপ্তাহ ৩৯ তো অনেক সময়। কিন্তু এর আগে যদি গর্ভকালীন কোন সমস্যা হয়।
তাহলে সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যাবে। যদি আপনার গর্ভকালীন কোন জটিলতা থাকে অর্থাৎ এমন কোন সমস্যা থাকে যার কারণে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাহলে আপনি। ৩৭ সপ্তাহের পরেই সিজার করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সিজার করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে ভালোমতো পরামর্শ করতে হবে। এবং তারপরে সিজার করার সিদ্ধান্ত নিন। ৩৭ সপ্তাহর আগে যদি মায়ের কোন সমস্যা হয় তাহলে।
সিজার করা যাবে।তবে সেক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন আপনার সন্তানকে নিউনেটাল ক্যায়ারে রাখতে হবে। তবে এমনটা খুব কমই করা হয় কারণ ৩৭ সপ্তাহের আগে সিজার করলে বাচ্চার প্রাণনাশের সম্ভাবনা থাকে। তাই মারাত্মক কোন জটিলতা না থাকলে কখনোই ৩৭ সপ্তাহের আগে সিজার করবেন না। আপনার যদি এটা দ্বিতীয় সিজার হয়ে থাকে তাহলে আপনি।
যে আল্ট্রাস্নো করেছেন সেটাতে যে ডেলিভারি তারিখ দেওয়া আছে।সেই তারিখেই সিজার করে ফেলতে হবে। এর ১.২ দিন আগে পরে করলে কোন সমস্যা নেই। ধন্যবাদ
৩৪ সপ্তাহে বাচ্চার বৃদ্ধি
গর্ব অবস্থায় পর ৩৪ সপ্তাহে বাচ্চার বৃদ্ধি। আপনার গর্বের শিশু এখন মাথা থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত প্রায় ৪৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। সে প্রায় ২টি জাম্বুরার সমান লম্বা হয়ে গিয়েছে তার ওজন প্রায় ২.১ কেজি। কিছু দিন আগে প্রায় আপনার বাবুর সোনামুনির ত্বক কিছুটা কুচকানো ছিল। ৩৪ সপ্তাহে বাচ্চার বৃদ্ধি পরিবর্তন ঘটে। ছোট বাচ্চার হাত দিয়ে কোন কিছু আঁকড়ে ধরে রাখতে পারে না। তার হাতের আঙ্গুলের নখ গুলি তৈরি হয়ে গেছে। এ সপ্তাহে নখ লম্বা হয়ে আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। হাতের আঙ্গুলের নখের সাথে সাথে বাচ্চার পায়ের আঙ্গুলের নখ গুলো লম্বা হতে থাকে। তবে সেগুলো এখনো আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত পৌঁছায়নি। পায়ের নখ পুরোপুরি লম্বা হতে আরো ৪ সপ্তাহের মত সময় লাগবে।
অদ্ভুত স্বপ্নঃ এ সময়ে আপনার ঘুমের সমস্যা হতে পারে। আপনার ঘুমের সমস্যা বলতে যেগুলো হতে পারে আপনার ঘুমের মধ্য। যেমন ঘুমের মধ্যেও আপনি হয়তো অনেক অদ্ভুত বা বিদঘুটে স্বপ্ন দেখতে পারেন। গর্ভাবস্থায় এ পর্যায়ে এসে অনেকেই তাদের গর্ভাবস্থায় প্রসাব ও গর্ভের শিশুকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের দুঃস্বপ্ন দেখতে পারেন। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা ও ঘাবড়াবেন না। মনে রাখবেন এসব অদ্ভুত স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন কেবলই স্বপ্ন। বাস্তব নয় স্বপ্নটা আপনার দুশ্চিন্তা থেকে আসে। ফলে গর্ব অবস্থায় দুশ্চিন্তা বাদ দিন। এতে আপনিও আপনার আগত শিশুর জন্য ভালো।
হঠাৎ করে কিছু লক্ষণ দূর হয়ে যাওয়াঃ আগামী কয়েক সপ্তাহে আপনার হঠাৎ করে কিছু গর্ভকালীন লক্ষণ উধাও হয়ে গিয়েছে বলে মনে হতে পারে এতে চিন্তার কিছু নেই।বাচ্চার মাথা যখন তলপেটের আরো গভীরে নেমে যায় তখন এমন হতে পারে। বাচ্চার তলপেটের গভীরে ডুব দেওয়ার এ ঘটনা কে ডাক্তারি ভাষায় লাইটেনিং বলা হয়ে থাকে। বাচ্চা পেটের নিচের দিকে যাওয়ার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সময়ে ফুসফুস আবারো পুরোপুরি প্রসারিত হওয়ার সুযোগ পায়।
তাই যদি এতদিন আপনার শ্বাস কষ্ট হয়ে থাকে। তাহলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন আপনি। এখন থেকে আপনার হয়তো শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর হবে। সেই সাথে পাকস্থলীর উপর থেকে চাপ কমে আসবে। গায়ে বুক জ্বালাপোড়ার মতো হজমের সমস্যা ও ছেড়ে যেতে থাকবে আস্তে আস্তে।
সিজারের পর কতদিন রেস্টে থাকতে হবে
সিজার একটি বড় অপারেশন। সিজারের পর কতদিন রেস্টে থাকতে হবে। বা কতদিন লাগবে সেরে উঠতে। আপনার এই অপারেশনের পর সেরে ওঠা। ও নিজের স্বাস্থ্য ফিরে পাওয়া একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে আপনার। নবজাতকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আপনার যত্ন নিতে ভুলে যান। সিজারের পর নবজাতকের পাশাপাশি আপনি নিজের যত্ন নিতে হবে। যদি আপনি নিজের যত্ন না নিন। না হলে এর ফলে শারীরিক ফিটনেস ফিরে পেতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হবে আপনার।
সিজারের পর কাঁটা স্থান থেকে শুকানো পযন্ত থেকে শুরু করে আগের মত হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করবার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ। অপারেশনের ৪৫ দিন পর কাটা জাইগা জোড়া লাগে। তখন আপনি হালকা কাজ কর্ম করতে পারবেন। ভারি কাজ করা যাবে না। ভারি কাজ করতে পারবেন অপারেশনের তিন মাস পরে। আর আপনি যদি ব্যায়ামে বা ধরি লাফালাফি করেন। তাহলে ছয় মাস পর করতে পারবেন। কিন্তু কনো ঝুঁকি নেওয়া যাবে না।
প্রথমে হাটা হাটি পরে একটু করে লাফালাফি বা ভারি কাজ করতে পারেন। আস্তে আস্তে ভারি কাজ করুন। একবারে ভারি কাজ করা থেকে বিতর থাকুন। অপারেশনে কাটা স্থানের যন্ত যে ভাবে নিবেেন অপারেশনের কাটা স্থানটির যন্ত নিতে হবে যে ভাবে তা। হসপিটালের থেকে ছুটি দেওয়ার সময় বলে দায়। অপারেশনের জায়গাটি সাবান দিয়ে প্রতিদিন একবার আলতো করে পরিষ্কার করতে হবে। বেশি চাপ দিয়ে ঘষা মাজা করবেন না।
করার পর কাটা জায়গাটা শুকনো তোয়ালে বা গামছা দিয়ে ভালোমতো মুছে নিতে হব। খেয়াল রাখবেন পানি যানো না থাকে। ঢিলে ঢালা ও আরামদায়ক পাতলা কাপড় পরতে হবে। অবশ্যই কাপড়টা যেন সুতির হয়। শরীরের সাথে মিশে যায় না এমন সুতা দিয়ে পেট সেলাই করলে অপারেশনের ৫ থেকে ৭ দিন পর খুলে ফেলা হয়ে থাকে। আপনাকে এমন পরামর্শ দিলে সময় মতো হসপিটাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে সেলাই কাটিয়ে নিবেন।
সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ
প্রতিনিয়ত হাজার হাজার সিজার হয়। অনেক সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ ও দেখা দেয়। নরমাল ডেলিভারি চেয়ে কষ্ট কম হওয়ায়। বর্তমানে জন্মদানের বা সন্তান প্রসবের পদ্ধতি হিসেবে খুব জনপ্রিয় উঠেছে সিজারিয়ে ডেলিভারি। তবে সিজার করানোর আগে। সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ ও সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে। ও সিজারের পরে খাবার তালিকা সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকা উচিত। সিজারের পর ইনফেকশন হলে এর লক্ষণ কি।
আপনি কি দেখে বুঝবেন সিজারে জায়গায় ইনফেকশন হয়েছে। অপারেশনের সেনসিটিভ কাটা জায়গা অনেক কারণেই সিজারের পর ইনফেকশন হতে পারে। বিষয়টা কিন্তু অত্যন্ত স্পর্শ কাতর। এ কারণে সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ দেখা গেলে। দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। কিন্তু তার আগে আমাদের জানতে হবে সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ গুলো কি কি। সিজারের কাঁটা স্থান ফুলে যাবে এবং লাল হবে। সিজারের স্থানে প্রচন্ড রকম ব্যথা হবে।
জ্বর আসবে সিজারের স্থান দিয়ে পুজ বা পানি বের হবে। প্রসাব করতে অসুবিধা হবে ও পা ফুলে যাবে। মাসিকের রাস্তায় দুর্গন্ধযুক্ত তরল ও জমাট রক্ত আসবে। এ কারনে দ্রুত সিজারের কাঁটাস্থান শুকানোর জন্য। আপনাকে সুষম খাবার এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। যেমন কমলা লেবু,মালটা,আমলকি,কাগজি লেবু, এগুলো মধ্যেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। এজন্য সিজারের পরে এগুলো বেশি বেশি করে খাবেন।
খেয়াল রাখতে হবে সিজারে কাটা স্থানে ময়লা বা ধুলাবালি না লাগে। যদি ধুলাবালু লাগে তাহলে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার দেখা দেবে। এবং এখান থেকে ইনফেকশনের মাত্রা বেড়ে যাবে। তাই সিজারের পরে কাঁটা স্থানে ইনফেকশন হোক বা না হোক প্রতিনিয়ত এই স্থানগুলো ড্রেসিং করতে হবে। এবং পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। ইনফেকশন স্থানে সাবান ব্যবহার করবেন না এতে ইনফেকশনের বেড়ে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিবে। অতএব এ বিষয়ে সাবধান থাকবেন।
সিজারের পর বেল্ট পরার নিয়ম
জীবনে প্রত্যেকটি নারী কোন না কোন সময় মা চায়। মা হবার জন্য জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত নিয়ে নিতে পারে যে কনো নারী। একটি সন্তানের জন্ম দেওয়া নারী জীবনের সব থেকে কঠিনতম সময়। কিন্তু সেই কঠিন সময়টি সহজে পার করতে পার করে দিতে পারে একজন নারী। জন্মের পর অনেক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় তাকে। স্বাভাবিক প্রসবের থেকে সিজারিয়ান প্রসব অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। গর্ভধারণের সময় অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায় তা অনেক সময় কমনো হতে পারে।
অতিরিক্ত ওজনের কারণে আগের ফিগারে ফিরে যাওয়া যায় না। পেটের মেদ কমানোর খুব সহজ নয় তা আমরা জানি। এবং তা আরো কঠিন হয়ে যায় সিজারিয়ান অবস্থার পর। কারণ ওই সময় কোন রকম এক্সারসাইজ করা যায় না। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জেনে নিব।সিজারের পর বেল্ট পড়ার নিয়ম। ও সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার করলে কতটুকু উপকার পাওয়া যায়। সিজারের পর আমরা অনেকেই বেল্ট পড়ি। সেই বেল্ট পরে আমাদের অতিরিক্ত মেদ কমানোর চেষ্টা করি।
তবে এই বেল্টের গুনাগুন জেনে নিব আজকে। সিজারের পর কোমরে বেল্ট ব্যবহার করা যায়। এতে কোন সমস্যা হয় না,তবে হাছি কাশি এবং টয়লেট ব্যবহার করার সময় বেল্ট ব্যবহার করা উচিত। এর ফলে হাটতে সুবিধা হয়,সিজারের পর সেলাই শুকানোর পর থেকেই বেল্ট ব্যবহার করা যায়। ৪০ দিন পর্যন্ত দিনে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বেল্ট ব্যবহার করতে পারবেন আপনি। এই বেল্ট পড়লে চারপাশে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। ফলে আপনার পেট থল থলে হবে না।
সিজারের সময় কয়েক স্তরের মাংস পেশি কেটে নেয়। বেল্ট পড়ার ফলে সেই মাংস পেশী জোড়া লাগার পদ্ধতি খুব দ্রুত হয়। বেল্ট ব্যবহার করলে নবজাতক কে নাড়াচাড়া করতে সুবিধা হবে আপনার। সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার করলে খুব তাড়াতাড়ি জরায়ু আগের অবস্থায় ফিরে আসে। বেল্ট ব্যবহার করলে কোমরের ব্যথার উপশম হয়।
কখন বেল্ট পড়া যাবে নাঃ সিজারের পর ইনফেকশন থাকলে বেল্ট পড়া যাবে না। অতিরিক্ত টাইট করে বেল্ট পড়লে হার্নিয়া হতে পারে। গরমকালে বেশিক্ষণ বেল্ট ব্যবহার করলে ঘাম থেকে ইনফেকশন হতে পারে। প্রসবকালীন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বেল্ট ব্যবহার করা যাবে না। সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার করলে কিছু জিনিস খেয়াল করতে হবে। সঠিক মাপের বেল্ট ব্যবহার করতে হবে আপনাকে। এমন ভাবে পড়বেন যাতে খুব বেশি শক্ত বা ঢিলে না।
সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায়
আপনার প্রশ্ন সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায়। নিশ্চয়ই এটি পড়ার আগে উপরের আর্টিকেলগুলো পড়ে আসছেন। সেখানে ঘা শুকানোর ব্যাপারে ও ভারি কাজ না করার বিষয়ে বলা হয়েছে। আপনি সিজারের তিন মাস পর্যন্ত কোন ভারি কাজ করতে পারবেন না। স্বাভাবিক কাজ করতে পারেন। সিজারের ছয় মাস পরে আপনি ভারী কাজকর্ম করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে জানের বিষয় টা ও এখানে একমত। সিজারের ছয় মাস পরে আপনি জার্নি করতে পারেন।
এতে কনো ক্ষতি হবে না। সিজারের তিন মাসের মধ্যে লং জার্নি করা যাবে না। এতে আপনার অনেক সমস্যা হতে পারে। গাড়ির ঝাকুনিতে আপনার পেট প্রচুর পরিমাণে ব্যাথা করতে পারে। ও সিজারের কাঁটা স্থানে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য আপনার উচিত হবে সিজারের ছয় মাস পরে লং ড্রাইভে বাবা দূরের জার্নি করা। এতে কোন সমস্যা হবে না। নিজের স্বাস্থ্যর দিকে নজর রাখুন। এতে জীবনটা অনেক সুন্দর হবে।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকে আর্টিকেল টি বাচ্চার ওজন কতটুকু হলে সিজার করা যায়। এই বিষয়ে আমরা উপরে পড়েছি। আমরা পড়ে পড়ে শেষ পযার্য়ে চলে এসেছি। আপনার সিজারের পর সব গুলো নিয়ম মেনে বলবেন। এতে আপনি সুস্থ সবল থাকবেন।সিজারের পর কি কি করনীয় সব কিছু এই আর্টিকেলটির ভিতরে সঠিক ভাবে দেওয়া হয়েছে। যা আপনার উপকারের জন্য। এই আর্টিকেল টি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন। তাহলে আরেক জন মায়ের উপকারের জন্য এটি শেয়ার করতে পারেন।
এছাড়াও আর এরকম আর্টিকেল আছে আপনি তা পড়তে পারেন। আর পরবর্তী কোনো তথ্য জানতে চাইলে। আমার কমেন্ট বক্সে বলতে পারেন। আপনার প্রয়োজনিয় কনো তথ্য বিষয়ে আর্টিকেল লাগে। যে কনো বিষয়ে আমি তৎক্ষণাৎ লিখে পোস্ট করবো আমার এই ওয়েবসাইটে। প্রয়োজনীয় সকল তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। @rfin shuvo
ওয়েভারগোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url