ডিম উৎপাদনের জন্য বিশ্বের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় মুরগির জাত

ডিম উৎপাদনের জন্য,ভাল জাতের মুরগি আমরা সাবাই চায়। আবার এই ও চায় ডিম যেন একটু বেশি হয়। এ জন্য জানতে হবে কোন মুরগী কত দিনে ডিম দায়। বা কত গুলা ডিম দিতে সক্ষম। চলুন জেনে নেই। ডিম উৎপাদনের জন্য বিশ্বের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় মুরগির জাত 
এই সব মরগীর নাম ও জাত সম্পর্কে। আরো জানবো এইসব জাতের মুরগী কোথায় পাওয়া যাই। মুরগীর ডিম ও মাংস বৃদ্বি হবে যে খাদ্য খাওয়ালে। আজ এই বিষয়ে সকল তথ্য তুলে ধরা হলো এই আর্টিকেল এর মধ্যেমে।

সূচি পত্রঃ ডিম উৎপাদনের জন্য বিশ্বের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় মুরগির জাত


ডিম উৎপাদনে বিশ্বের সর্বোচ্চ সেরা জাতের মুরগি

সারা দুনিয়ায় যে কয়টি জাতের মুরগি সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন করতে সক্ষম তাদের কয়েকটি জাতের পরিচয়  তুলে ধরা হলো।এই মুরগী গুলো আপনার ব্যবসায় লাভের পরিমান একটু বেশি দিয়ে থাকে।ও আপনি স্বাবলম্বী হতে খুব একটা সয়ম লাগবে না।

হোয়াইট লেগহর্ন মুরগি জাত ও ডিম/ফ্রান্স 

হোয়াইট লেগহর্নঃ আপনি যদি ব্যবসায়ইক ভাবে ডিম উৎপাদন করতে চান।তাহলে হোয়াইট লেগহর্ন জাতের মুরগি অন্যতম।এই জাতের মুরগি গুলো তাদের খাবার কে দক্ষতার সাথে ডিমে রুপান্ততিতো করতে পারে।বছরে প্রচুর পরিমানে ডিম দায় বলে ব্যবসায়িক ভাবে এই জাতের মুরগি বেশি পালন করে থাকে।আপনি এই জাতের মুরগি পালন করে লাভবান হতে পারেন।
জাত উৎপত্তিঃ ইতালি
মুরগির ওজনঃ ২ থেকে ২.৫ কেজি হয়ে থাকে
পালকের রঙঃ সাদা,ভিন্ন রঙের ও হয়
মাথায় ঝুটিঃ একক চিরুনি ও গোলাপ আকৃতি হয়
ডিমের রঙঃ খোসা সাদা
ডিম উৎপাদন ক্ষমতাঃ ২৯০ থেকে ৩১০ পিস প্রতি বছর
প্রতি ডিমের ওজনঃ কমপক্ষে ৫৫ গ্রাম

সাসেক্স মুরগি জাত ও ডিম /ইংল্যান্ড 

সাসেক্স মুরগিঃ এই মুরগি আমাদের দেশি মুগির মতো পালন করতে পারেন এই সাসেক্স মুরগি।বাড়ির ওঠানে বাহিরে ও শেডের মাধ্যমে।যামন ইচ্ছা আপনার, শান্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের হওয়ায়।মুরগি গুলো কে সহজেই পালন করা যাই।

এই সাসেক্স মুরগি গুলো সব রকম তাপমাত্রায় ও পরিবেশে।পারফেক্ট ভাবে মানিয়ে নিতে পারে এই মুরগি।আপনি দেশি মুরগির সাথে পালতে পারবেন কনো সমস্যা ছাড়াই।নতুন খামার যারা করতে চান।তাদের জন্য অন্যতম ও পছন্দের হতে পারে এই সাসেক্স মুরগি।
  • জাত উৎপত্তিঃ ইংল্যান্ড
  • মুরগির ওজনঃ ৩ থেকে ৩.২ কেজি হয়ে থাকে
  • পালকের রঙঃ সাদা,বাদামি,লাল ও চিরল হয়ে থাকে
  • মাথার ঝুঁটিঃ একক চিরুনি আকৃতি
  • ডিমের রঙঃ ক্রিম / হালকা বাদামি
  • উৎপাদন ক্ষমতাঃ ২৫০থেকে ২৭০ পিস প্রতি বছর
  • প্রতি ডিমের ওজনঃ আনুমানিক ৬০গ্রাম

আইএসএ ব্রাউন মুরগি জাত ও ডিম/ফ্রান্স

আইএসএ ব্রাউনঃ ইন্সটিটিউট ডি সিলেকশন অ্যানিম্যাল ISA নামের প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির ক্রস বেডিং করে আইএসএ ব্রাউন নামের একটি হাইব্রিড মুরগির জাত উন্নয়ন করে।এই প্রজাতির মুরগির ডিম উৎপাদনশীলতার জন্য।

বেশিরভাগ বড় খামারে পালন করা হয়ে থাকে।এ ব্রাউন থেকে বেশি উৎপাদন ডিম ও ভালো আর্থিক ফলাফল পেতে।তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সব সময় পরিস্কার স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বা শেড ও সুষম পুষ্টি দেওয়ায় বেশ গুরুত্ব রয়েছে তাদের।
  • জাত উৎপত্তিঃ ফ্রান্স
  • মুরগির ওজনঃ ২ কেজি হয়ে থাকে 
  • পালকের রঙঃ লালচে বাদামি রঙের হয়
  • মাথায় ঝুটিঃ একক চিরুনি আকৃতি
  • ডিমের রঙঃ বাদামি
  • ডিম উৎপাদন ক্ষমতাঃ ২৫০ থেকে ৩৩০ পিস প্রতি বছর
  • প্রতি ডিমের ওজনঃ আনুমানিক ৬৫ গ্রাম

গ্রামপ্রিয়া মুরগি জাত ও ডিম/ভারত

গ্রামপ্রিয়াঃ আজকের দিনে সংসারে অনেকেই মুরগি পালন করে থাকেন।এই মুরগি পালন অনুসারে আর্থিক সংকট দূর হয় বটে।গ্রামপ্রিয়া খোলা মেলা পরিবেশে পালন করার মত একটা জাতের মুরগি।পবাড়িতে পালনের পাশাপাশি ব্যবসায় দিকে ও জনপ্রিয় গ্রামপ্রিয়া মুরগি।

হাইব্রিড এই প্রজাতির মুরগি হায়দ্রাবাদ ভিত্তিক প্রকল্পের মাধ্যমে।ভারতীয় সরকার দ্বারা উদ্ভাবন করা হয়।বাংলাদেশ ও ভারতের মত বৈচিত্র্যময় পরিবেশে সাথে মানানসই একটি মুরগির জাত হচ্ছে গ্রামপ্রিয়া।গ্রামাঞ্চলে মুরগী পালন করতে অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়।

যেমন শিয়াল বেজি গাবরা এদের নজর এরিয়ে মুরগি পালন করে থাকেন।অনেক সময় আক্রমণের শিকার হয়ে থাকেন মুরগিগুলো।উৎপাদানে গ্রামের খোলা মেলা জাইগায় গ্রামপ্রিয়া মুরগি পালন করতে পারেন।এরা খুব ধুখর ও চালাক মুরগি।

মুরগির ওজনে হালকা হওয়ায় বিপদের আবাস বুঝে দূত পালিয়ে যেতে পাড়ে এই মুরগি গুলো।গ্রামপ্রিয়া মুরগি জন্মের ৩৪ সপ্তাহ পর তার ডিম উৎপাদে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অনেক পৌঁছাতে পারে।গ্রামপ্রিয়া মুরগি পালনে আপনি হতে পারেন ব্যবসায় লাভবান।
  • জাত উৎপত্তিঃ ভারত
  • মুরগির ওজনঃ ১.৫ কেজি ১.৮ হয়ে থাকে
  • পালকের রঙঃ বাদামি রঙের হয়
  • মাথায় ঝুটিঃ একক চিরুনি আকৃতি
  • ডিমের রঙঃ বাদামি
  • ডিম উৎপাদন ক্ষমতাঃ ১৮০ থেকে ২২০ পিস প্রতি বছর
  • প্রতি ডিমের ওজনঃ আনুমানিক৫৬ গ্রাম

মিশরীয় ফাউমি মুরগি জাত ও ডিম/মিশর কায়রোর

মিশরীয় ফাউমিঃ ফাউমি বা মিশরীয় ফাউমি।এই মুরগি মিশরীয় জাত।এই জাতের মুরগি নাম দেওয়া হয়েছে উৎপাদিত শহর মিশরের নামে।মিশরের রাজধানী কায়রোর দক্ষিণ ও পশ্চিমে এবং নীলনদের পশ্চিমা অবস্থিত গভর্নরেট থেকেই মুরগির নাম দেওয়া হয়েছে।

ফাউমি প্রাচীন জাতের মুরগি বলে মনে করা হয়।১৯৪০,দশকের যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া টেস্ট,ইউনিভার্সিটির কৃষি বিভাগের।একজন ড্রিন মিশর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে  ফাউমি মুরগির কিছু ডিম এনেছিল।ফাউমি মুরগি ডিম থেকে বেড় হওয়া বাচ্চা গুলো বড় হওয়ার পরে।

আরো পড়ুরঃ মুরগি যে খাবারে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পায়

 মিশরীয় ফাউমি সঙ্গে আমেরিকান মুরগির ক্রস ব্রিড করেন তিনি।ওই সময়ে গবেষকদের ধারণা ছিল যে আমেরিকান স্টক এর বিভিন্ন জাতের মুরগি চেয়ে মিশরীয় ফাউমি মুরগির ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস সংক্রমণের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকতে পারে।

কিন্তু মিশরি ফাউমি কে আমেরিকান পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন স্বীকৃতি  দেয়নি।অ্যাসোসিয়েশনে স্ট্যান্ডার্ড অব অনুমতির অন্তর্ভুক্ত নয় এই ফাউমি জাত।এ দেশে ফাউমি মুরগির দুটি রঙের জাত স্বীকৃতি সিলভার পেন্সিল এবং গোল্ড পেন্সিল।

মিশরিয় মুরগি ফাউমি বৈশিষ্ট্য 
ফাউমি জাতের মুরগির একক ঝুটি থাকে।ওর খাঁজ টা সুষম।মাথায় ঝুটি, কানের লোব।বা লতি ও গলায় ফুল উজ্জ্বল লাল চোখ গাঢ় বাদামি।ঠোঁট ও পায়ের নোখ ধূসর।

নীলাভ কালো পা,কানে লতিতে সাদা সাদা স্পট আছে।ফাউমি মুরগির চামড়ার রং নীল স্লেট।রুপালি সাদা রঙের ঘাড় এবং কালো কালো ছোপের পালকে ঢাকা শরীর।ফাউমি মুরগির দ্রুত  ম্যাচিউরিটি আসে।৪থেকে ৫ মাসের মধ্যে ডিম দিয়ে থাকে।
  • জাত উৎপত্তিঃ মিশর কায়রোর
  • মুরগির ওজনঃ ১.৫ কেজি ১.৮ হয়ে থাকে
  • পালকের রঙঃ সিলভার পেন্সিল ও গোল্ড পেন্সিল হয়
  • মাথায় ঝুটিঃ একক চিরুনি আকৃতি
  • ডিমের রঙঃ বাদামি
  • ডিম উৎপাদন ক্ষমতাঃ ২৫০ থেকে ২৬০ পিস প্রতি বছর
  • প্রতি ডিমের ওজনঃ আনুমানিক৫৬ গ্রাম

সোনালী মুরগি জাত ও ডিম /বাংলাদেশ

সোনালী মুরগিঃ আমাদের দেশি মুরগি।সোনালী মুরগি আমাদের গ্রাম মুখি সবার বাড়িতে আমরা পালন করে থাকি।এই মুরগির তামন কনো খোজ খবর রাখতে হয় না।সাধারণত খাবার সেরকম দিতে হয় না।মুরগি নিজেয় তার খাবার সংরক্ষণ করে থাকে।

পোকা মাখর ধান লতা পাতা খায়।মাঝে মধ্যে বাড়ির ওঠানে আসলে একটু ভাত বা চাল ছিটিয়ে দিলে ওকে আর কিছু লাগে না। এই মুরগি ডিম থেকে নিজেই বাচ্চা উৎপাদন করে থাকে।আবার আমাদের তৎক্ষণিক উপকারে আসে।বাসায় হঠাৎ কেউ আত্মীয়-স্বজন জামাই আসলে।

জবাই করে খাওয়ানো যায় ও ডিম দিয়ে ও দেওয়া যায় অনেক খাবার।তবে আপনি এই সোনালী মুরগি বাণিজ্যিকভাবে ও করতে পারেন লালন পালন।এই মরগি যদি শেডে করা যায় তাহলে।এর উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।আপনি এর ডিম বিক্রয় করতে পারে।

বাচ্চা উৎপাদন করে বিক্রিয় করতে পারেন।মুরগি রোস্ট সাইজ করে।তা ছাড়া বিভিন্ন হোটেলে বা বাজারে বিক্রিয় করতে পারবেন।এই মুরগি বিভিন্ন ভাবে বিক্রিয় করা যায়।
  • জাত উৎপত্তিঃ বাংলাদেশ
  • মুরগির ওজনঃ ১.৫ কেজি ১.৮ হয়ে থাকে
  • পালকের রঙঃ সাদা কালো বাদামি রঙের হয়
  • মাথায় ঝুটিঃ একক চিরুনি আকৃতি
  • ডিমের রঙঃ সাদা
  • ডিম উৎপাদন ক্ষমতাঃ ১৫০ থেকে ১৮০ পিস প্রতি বছর
  • প্রতি ডিমের ওজনঃ আনুমানিক৩৫ গ্রাম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েভারগোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url