খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার উপকার সম্পর্কে জানুন
আমাদের সবার প্রিয় একটি খাবার খেজুর ও কিসমিস। দেখতে যামন সুন্দর। খেতে ও তামনি সুস্বাদু এই দুটি খাবার। খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার উপকার সম্পর্কে। আমরা হয়তো অনেকেই যানি না। মুখের
স্বাদে সবাই খেয়ে থাকি এই খাবার। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে খেজুর ও কিসমিস এর মধ্যে কতো গুলো গুণ রয়েছে।এক সপ্তাহ খেজুর খেলে কি হয় জানেন। জনলে আজকে থেকেই খাওয়া শুরু করবেন।
সূচি পত্রঃ খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার উপকার
ভূমিকা
খেজুর ও কিসমিস মানব দেহের জন্য কতটা উপকার। তা জানতে পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এর উপকার আপনার দেহের জন্য অনেক দরকারি। এই ছোট দুটি খাবার আপনার অনেক রোগের সমাধান দিতে সক্ষম। যা আপনার ভাবনার বাইরে। আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার পর নিজেই বলবেন যে খেজুর ও কিসমিস এর এতো গুণ রয়েছে আমি আগে যানি না। খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার উপকার সম্পর্কে জানতে নিচে পড়ুন।
খেজুর ও কিসমিস খাওয়ার উপকার
আমরা খেজুর ও কিসমিস কম বেশি সবাই খেয়ে থাকি। খেজুর বিষেশ করে প্রায় দিন আমরা খেয়ে থাকি। বা এটা নাস্তাতে রাখি অনেকে। কানোই বা রাখবেন না দেখতে যামন সুন্দর।খেতে ও অতুলনীয় স্বাদ। এই খেজুর গুনা গুনে ভরপুর যা আমরা প্রতি নিয়েতো খেয়ে থাকি। যে উপকার গুলো খেজুরে আছে। খেজুর পুষ্টিতে এত সমৃদ্ধ যে এটিকে ওয়ান্ডার ফল হিসেবেও বিবেচনা করা যায়। এতে থাকা আয়রন, খনিজ, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফসফরাস এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ।
খেজুর আপনার স্বাস্থ্যের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করবে।বিজ্ঞান বলে বলদায়ক ও শক্তি বৃদ্ধিতে দুর্দান্ত কাজ করে। প্রতিদিন বিকেলে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস গরে তুলুন। আপনার সকল সমস্যা সমাধান হবে। এটি এমন একটি ফল যাতে প্রচুর ক্যালরি শক্তি রয়েছে। তাছাড়া এতে অনেক ভিটামিন মিনারেল রয়েছে। যৌন সমস্যার সমাধান করে ও যৌন মিলন দীর্ঘসময় করতে সাহায্য করে। আপনার শুক্রাণুর উন্নত করতে পারে।
শুকনা খেজুর অথবা যেকোনো ধরনের খেজুর খেলে আপনি উপকৃত হবেন। খেজুরে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার অনেক গুলি রোগ নিরাময় করতে পারে। এটি খেলে ডায়াবেটিস, সূথলত্ব,পেটের কান্সার ও আলসারের মতো অবস্থার ঝুঁকি রাস করতে সহায়তা করে।ও হৃদরোগ নিরাময় হয়। আফ্রিকায় দেখা গেছে পুরুষ বন্ধ্যাত্বের জন্য। সেখানকার লোকেরা দীর্ঘদিন ধরে খেজুর খেয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন।
খেজুর ফুলের পরাগরেনু বন্ধ্যাত্ব দূর করে ও শুক্রাণু বৃদ্ধি করে। খেজুর ও এর ফুলে থাকা পরাগরেণু ডি এনএ,র গুণগত মান উন্নত করে।পুরুষদের কাজের চাপে অনেক সময় শরীর দুর্বল লাগে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি খেজুর খেয়ে নিলেই ফিরে পাবে আগের এনার্জি। এছাড়াও খেজুর খাওয়ার আরও ১১ টি উপকার রয়েছে।
খেজুর খাওয়ার ১১ টি উপকার
রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়ঃ খেজুরে রয়েছে ভিটামিন,খনিজ,ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। খেজুরে থাকা আন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
রক্তস্বল্পতায় ভোগা রুগীরাঃ প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন তার ১১ ভাগ পূরণ করে এই খেজুর।
কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যাঃ রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন। দূর হবে কুষ্ঠকাঠিন্য।
প্রোটিনঃ খেজুর, এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এর কারণে এটি মাংস পেশি গঠন করে। এবং শরীরের জন্য অপরিহার্য প্রোটিন সরবরাহ করতে সহায় করে।
ক্যালসিয়ামঃ খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকায়। এটি হাড়কে মজবুত করে এ ছাড়া ও এটি শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ খেজুরে আন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যর কারণে এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় সহাতায় করে।
ভিটামিন সি এবং ডিঃ খেজুরে ভিটামিন সি এবং ডি,থাকার কারণে ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। খেজুর ব্যবহার করলে ত্বকে স্থিতিস্থাপকতা,আদ্রতা এবং চকমক নিয়ে আস। এতে থাকা উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ডি, ত্বক শিথিল হওয়া রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
পটাশিয়াম ও সোডিয়ামঃ খেজুরে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম দেহের উচ্চ রক্তচাপ কমায়। ও বাজে কোলেস্টেরল দূর করে। এবং শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
গবেষণায় দেখা যায়,খেজুর পেটের ক্যান্সার প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে। খেজুর খেলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে অনেকটাই।
রুচি বাড়াতে অনেক কার্যকরী হচ্ছে খেজুর। শিশুদের খাবারে অরুচি থাকলে। তাদের নিয়মিত খেজুর খাওয়াতে পারেন।এতে তাদের খাবার রুচি ফিরে আসবে।
হার্টের সমস্যা দূর করে,বেশিরভাগ পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অত্যাধিক কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। গ্লাসে খেজুর ভিজিয়ে রাখা পানি খেলে হার্টের সমস্যা কমবে। খেজুর হৃদপিন্ডের ক্ষমতা বাড়ায়।ও রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। প্রতিদিন কতগুলো খেজুর খেতে পারবেন।
কোন খাবারই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয় এতে অনেক উপকারী খাবারও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই খেজুর খাওয়ার ক্ষেত্রেও পরিমাণ জেনে রাখা উচিত।পুষ্টিবিদদের মতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি খেজুর খেলেই তা যথেষ্ট। তবে যারা ওজন বাড়াতে চান তারা প্রতিদিন চারটি করে খেজুর খেতে পারেন।
কিসমিস খাওয়ার উপকার গুলো
কিসমিস খাওয়ার উপকার গুলো সম্পর্কে জানতে। আজকের এই আর্টিকেল। কিসমিস একটা ড্রাই ফুড। কিসমিস তৈরি করা হয় আঙ্গুর থেকে। যখন কনো ফুডস কে ড্রাই করা হয় ন্যাচারালি। তার ক্যালরি অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যায়। ও ফুডরোজরের পরিমান বেড়ে যাই। এবং এটা অনেক বেশি এনার্জিট্রিক হয়। সে রকমই একটা ফল কিন্তু কিসমিস।অনেক গুলো নিউট্রিশন ভালু কিসমিস কাজ করে। যামন আঙ্গুর যদি র খাই।
সেখান থেকে ভালো পরিমানের ভিটামিন সি,থেকে শুরু করে অনেক কিছু আমরা পাবো। কিন্তুু এইটা যদি আমরা কিসমিস আকারে খাই। সেখানে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। আয়রন এর পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ইনফাক্ট এখানে যে ফাইবার টা আছে। অনেকে যে কারণে কিসমিস টা খেতে চান।সাধারণত আয়রন ডেপিশন্সসিটি বেশি থাকে। এবং যারা ইস্টুলক্লিয়ার করতে পারেন না। অথাৎ কনস্টিপেশন থাকে তাদের বলি।
আরো পড়ুনঃ মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা ও ঝুঁকি
কিসমিস টা রাতের বেলা ১০ টা ভালো করে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে পানি সহ কিসমিস গুলো চিবিয়ে খেয়ে নিন। তার মানে এই নয় যে কিসমিস ভেজানো ছাড়া খাওয়া যাবেনা। কিসমিস আপনি এমনিতেও এনার্জি বুস্ট করার জন্য খেতে পারেন। প্রতি দিন নিয়ম করে কিসমিস খেতে পারেন তাহলে অনেক এনার্জি ও শক্তি পাবেন শরীরে। ধরেন আপনি সকালে ব্যায়াম করতে যান। ব্যায়ামে যাওয়ার আগে ৮,১০ টা কিসমিস খেয়ে পানি খেয়ে।
তারপর আপনি ব্যায়ামে যেতে পারেন। এছাড়াও অনেক সময় অফিসে বসে আছেন। বা কোন কাজে কামে আছেন। এময় কাজের পেশারে এনার্জিটিক ফিল করছেন। সে ক্ষেত্রে যদি আপনার ব্যাগে বা পকেটে কিসমিস টা রেখেদান। সেখান থেকে যদি ৮,থেকে ১০ টা কিসমিস যদি আপনি ইনিস্টান খান। তাহলে আপনার ফাওয়ার বুস্ট হবে। সাথে সাথে আপনি এনার্জিটিক ফিল করবেন। যারা ডায়াবেটিক্স রোগী আছেন যাদের অনেক সময় সুগার টা ফল্ট করে যাই। তারা কিন্তু এই ড্রাই ফুডটি সাথে রাখেন। ইনিস্টান সুগার সাপ্লাই জন্য তারা খেতে পারেন।
বাদাম ও কিসমিসের উপকারিতা
বাদাম আমাদের জন্য অনেক উপকারী ফল। যো খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক পুষ্টি কর খাবার। বাদাম ও কিসমিসরে উপকার সম্পর্কে জানলে মনে হবে আপনি আকাশ থেকে পড়ছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে শুধু পানি নই অনেকে ঘুম থেকে উঠার পর। নিয়ম করে ভেজানো বাদাম খেয়ে থাকেন। জানেন কি এই শুকনো ফলটি একাধিক গুণে সমৃদ্ধ। সারাদিনে দৌড় ঝাপে শক্তির জোগান দেয় আমন বা কাঠ বাদাম।
শুধু তাই নয় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিন্তুু অসাধারণ কাজ করে বাদাম। প্রতিদিন সকালে যদি আপনি দুটি করে বাদাম ও কিসমিস খান। তাহলে ত্বক ও চুলের জন্য এটি খুবই উপকারী। রাতে ভিজিয়ে রাখা বাদাম ও কিসমিস দিয়ে দিনের শুরুটা করুন। এই ক্ষেত্রে বাদামের পুষ্টি গুন জাতে পুড়োপুড়িভাবে আমাদের শরীরে লাগে। তার জন্য খোসা ছাড়িয়ে ভিজিয়ে রাখুন বাদাম। তাছাড়া আপনি এটি সকালে খোসা ছাড়িয়ে ও খেতে পারেন। আর এভাবে যদি আমরা নিয়মিত বাদাম খাই।
তাহলে আমাদের শরীরে আয়রন ও ভিটামিন বি। এর মতো জরুরী উপাদান গুলো সহজে পৌঁছাবে। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মানুষ বাদাম খায়। তাদের ওজন তাড়াতাড়ি কমে। অর্থাৎ ওজন কমাতে চাইলে বাদামের জুরি মেলা ভার। এছাড়াও বাদাম ও কিসমিস একই সঙ্গে সেবন করলে। ঋতু শ্রাবের সময় তলপেটের পেশির টান ধরা বা ক্রাম থেকে রেহাই পাওয়া যাই। এবং পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। হজম শক্তিকে ভালো করতে সাহায্য করে বাদাম ও কিসমিস।
অনেকে কাঁচা বাদাম খেতে ভালোবাসে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে যদি আপনি। বাদাম ভিজিয়ে খান হজম শক্তি খুব ভালো হবে। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বাদামে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের কোমলতা বাড়ায় চুলকে বানাই মজবুত দীর্ঘস্থায়ী। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বাদাম ও কিসমিস খেলে মস্তিষ্কে বিকাশ ঘটে। এটি নিয়মিত সেবন করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এইজন্য কিন্তু ছাত্র ছাত্রীদের ভেজানো বাদাম ও কিসমিস খাওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়।
খারাপ কোলেস্টর বা এল ডি এল স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। বাদাম এই খারাপ কোলেস্টেরল কে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এবং ভালো কলেস্টরল বা এইচ ডি এল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। এর ফলে হৃদয় সুস্থ থাকে। বাদাম ও কিসমিস উচ্চ রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার কে নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই সাহায্য করে। এতসব উপকার যদি আমরা বাদাম ও কিসমিস থেকে পাই। তাহলে আর দেরি কিসের ভেজানো বাদাম আর কিসমিস খাওয়া শুরু করে দিন।আজ থেকেই
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় মায়েদের প্রচুর পরিমানে পুষ্টি ও শক্তির প্রয়োজন। মায়েরা গর্ভাবস্থায় অনেক রকমের ফল খেয়ে থাকেন। আজকে জনবো গর্ভাবস্থায় অসাধারণ খাবার খেজুর নিয়ে কিছু আলোচনা করবো। চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। খেজুরে রয়েছে ফুলেট আয়রন ভিটামিন কে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। আপনারা হয়তো জানেন প্রতি ১০০ গ্রাম আয়রন এ রয়েছে। ২৭৭.কিলো শক্তি, ১.৮ গ্রাম প্রোটিন ও ৬.৭ গ্রাম ফাইবার।
তাই গর্ভবতী মায়েরা খেজুর খেলে এসব উপকার গুলি পাবে। শক্তির যোগান গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক এর তুলনায় বেশি শক্তি প্রয়োজন। তাই খেজুর খেয়ে খুব সহজেই গর্ভবতী মায়েরা শক্তি যোগান দিতে পারে। গর্ভের বাচ্চার হাড় ও দাঁত গঠনসহ শরীর বৃদ্ধিতে কার্যকর হলো খেজুর। ম্যাগনেসিয়াম গর্ভের বাচ্চার হাড় ও দাত গঠনে এক অন্যতম উপাদান।খেজুরে ম্যাগনেসিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণ। এবং অ্যামিনো এসিড থাকার কারণে শারির বৃদ্ধি তে দারুণ কার্যকর।
জন্মগত সমস্যা যেমন রোগা বোবা কালা প্রতিবন্দী রোধে। যেকোনো ডাক্তার গর্ভবতী মায়েদের কমন একটা মেডিসিন খেতে বলে। আর সেটা হলো ফলিক এসিড বা ফলেট। কেননা ফলেট বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি রোধে অদ্বিতীয় ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফলেট। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে। পটাশিয়াম শরীরের রক্তের চাপ কে নিয়ন্ত্রণ করে। এবং পেশি গুলির বাধা এরাই। এই খনিজ টির ঘাটতি রক্তচাপ কাডিও ভাস্কোলার রোগ।
এবং স্ট্রোকের মত ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম তাই খেজুর খেলে এই সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায় এবং শরীর ফিট থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, গর্ভাবস্থায় কুষ্ঠ কাঠিন্য রোগের ভোগেন নাই এমন মা খুব কম আছেন। কেননা বিভিন্ন হরমোনাল কারণে শরীরে কুষ্ঠ কাঠিন্য দেখা দেয়। খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। শিশুর জন্য ভিটামিন কে সরবরাহ করে। সাধারণত বাচ্চারা কম পরিমানে ভিটামিন কে নিয়ে জন্মায়।
খেজুর খেলে শিশুদের শরীরের ভিটামিন কে এর ঘাটতি পূরণ হয়। মুখে স্বাদ লাগার কারণে বেশি পরিমাণ খেজুর খাওয়া যাবে না। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা খেজুর খেতে পারেন গর্ভাবস্থায়। প্রথম তিন মাস,কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাটি বেশি প্রবল থাকে। তাই আপনি খেজুর খেয়ে উপকার পাবেন।তবে আপনার রক্তের শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে ডাক্তারে পরামর্শ না নিয়ে খেজুর খাওয়া উচিত হবে না। দ্বিতীয় তিন মাস,দ্বিতীয় তিন মাসের সময় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এই সময় খেজুর খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এবং তৃতীয় তিন মাস,এই সময় আপনি প্রতিদিন প্রায় পাঁচ থেকে ছয় টি করে খেজুর খেতে পারেন। এতে আপনার ডেলিভারি প্রক্রিয়া কিছুটা সহজ হতে পারে। আজকে এই পযন্ত আর্টিকেল টি শেষ পযন্ত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজের আর্টিকেল টি খেজুর ও কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। তো আমার একেবারে আর্টিকেল টির শেষ পযার্য়ে চলে এসেছি। খেজুর ও কিসকমিস এর সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য আমরা জানলাম। আমরা পুষ্টির জন্য বিভিন্ন রকমের ফল খেয়ে থাকি। তার মধ্যে খেজুর ও কিসমিস অন্যতম খাবার। আপনি চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে খেতে পারেন খেজুর ও কিসমিস। এতে আপনার শরীরের অনেক ঘাটতি কমাতে সহায়তা করবে। ও আপনার পরিশ্রমের ক্লান্তি দূর করবে। নিঃসন্দেহ খেজুর ও কিসমিস একটি অন্যতম খাবার। ধন্যবাদ @rfin shuvo
ওয়েভারগোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url