সরিষার খৈল এর উপকারিতা

 সরিষা খৈল সম্পন্ন প্রাকৃতিক ও পরিবেশ বান্ধব সেরা মানের জৈব সার।এই সরিষা খৈল ব্যবহারে আমাদের গাছগাছারি প্রয়োজনীয় ফসফরাসের শক্তি পায়। সরিষার হল উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয়।

নাইট্রোজেন পটাশিয়াম ও সব ধরনের ম্যাক্রো ও মাইক্রো উপাদান বিদ্যমান থাকে। সরষিা খৈল প্রাকৃতিকের জন্য কি যে উপকার তা বলে শেষ করা যাবেনা।সরিষা খৈলে গরু মোটাতাজা।

পোস্ট সূচি পত্রঃ


সরিষার খৈল এর উপকারিতা 

সরিষা খৈল প্রাকৃতিকের জন্য কি যে উপকার তা বলে শেষ করা যাবেনা। এই খৈল আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কমায়।  সরিষার তেল সংরক্ষণের পর এই খৈল তৈরি হয়।সরিষা খৈল গাছের হরলিক্স ও বলা যায়। খৈলের উপকারে যানো প্রাকৃতিক সবকিছুই  তার আশেপাশে। এই খৈল এক দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে যদি ব্যবহার করেন।

 এর উপকার পাওয়া যাবে শুকনো খৈলের থেকে অনেক গুণ। এখন বর্তমান অনেকেই ছাদে বাগান করে থাকেন। তাদের জন্য বিশেষ গুনাগুন এ ভরা এই সরিষা খৈল। আপনার ছাদে বর্তমানে ফল ও ফুলের বাগান করে থাকেন।আর এই গাছ গুলো নিয়ে আপনারা অনেক ভাবনায় থাকেন গাছের পাতা মরে যাচ্ছে ফুল আসছে না ফল হয় না। গাছ বড় হয় না।আপনারা এই শরিষা খৈল ভিজিয়ে রেখে গাছের গোড়ায় দিবেন।

দেখবেন ২থেকে ৪ দিন পর গাছ যানো নতুন এক জীবন পাইছে মনের আনন্দে দুলছে মৃদু বাতাসে।ফুল গাছ ফল গাছ নতুন এক সজীবতা  ফিরে পায় খৈল ব্যবহারে।আগের তুলনায় ফুল ও ফলের বৃদ্ধি পায়।কারন সরিষা খোল প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর যেমন মাইক্রোটিন ম্যাক্রো নাইট্রোজেন ও পটাশিয়াম যুক্ত সরিষা খৈল।এই খৈল প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়ায় এর ভিতর কোনরকম ভেজাল নেই একদম নির্ভেজাল।এই সরিষা খৈলে মাইক্রোটিন থাকার কারণে ফুল ও ফলের গোড়া শক্ত হয় ও সতেজ থাকে। 

সরিষা খৈলে গরু মোটাতাজা 

সরিষা খৈল গরুর জন্য অনেক উপকারিতা।গরুর খাবার তালিকায় অনেক দানাদার খ্যাদ্য আমরা দিয়ে থাকি।তারম খোল উন্নত মানের একটা খাবার গরুর জন্য।আমরা অনেক ধরনের খাবার দিয়ে থাকি।যামন ভুট্টার ভুসি গমের আটা ধানের গুড়া চালের আটা ইত্যাদি।

এর মধ্য খৈল পানিতে ভিজিয়ে গরুকে খাওয়ায়।আবার খরের মধ্যে খৈল মাখিয়ে খাওয়ায়।এই খৈল খাওয়ানো জন্য গাভী গরু দুধ বেশি ও ঘন হয়।গরুর গা ছিল ছিলা হয়।খৈল খাওয়ালে গরুর খুরে ঘা হয় না।শরিষা খৈল খাওয়ালে গরুর পেটে গ্যাস হয় না।ও ওজন বৃদ্ধি পায়।পানিতে খৈল ভিজিয়ে খাওয়ালে গরুর হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। 

জমির জন্য উপকারী খৈল

জমির জন্য উপকারী খৈল।আমরা সারা বছর কিছু না কিছু চাষ আবাদ করে থাকি।চাষের জমি তৈরি করার জন্য আমরা প্রকৃতিক জৈব সার ব্যবহার করে থাকি।আমরা সবাই চাই ফসল ভালো ও বেশি হয় যানো।জমিতে বীজ ও গাছ রুপনের আগে মাটিতে ছাই ও গোবর দিয়ে থাকি। যানো ফসল ভালো হয়।আমরা কিন্তুু ছাই গোবর এর সাথে যদি সরিষা খৈল মিশিয়ে জমিতে ছিটিয়ে দেয়।

 আমাদের ফসল আগের থেকে দিগুণ হবে।এই খৈল নাইট্রোজেন পটাশিয়াম ও ম্যাক্রো থাকার কারনে কনো প্রকার ছত্রাক বাসা বাধতে পারেনা।এই খৈল দাওয়ার কারনে মাটির পোকা মাকর গাছের গোড়ায় ও শেকর নস্ট করতে পারেনা। গাছের অক্সিজেন ও পানি শোশন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।পটাশিয়াম ও ম্যাক্রো থাকার কারণে ফুল  বৃদ্ধি পায় ও ফল দূত বাড়ে।

শরিষা খৈল জৈব সার যে ভাবে তৈরি করবেন

শরিষা খৈল জৈব সার যে ভাবে তৈরি করবেন।সাধারণত আমরা বাড়ির পেছনে বা আশেপাশে একটা গর্ত খুঁড়ে সেখানে গবর ছাই মাটি বিভিন্ন ধরনের সবজির খোষা ফেলে থাকি।আস্তে আস্তে গর্ত পূরণ হয়ে যায় ময়লা ফেলতে ফেলতে। আর সব ধরনের ছায় মাটি খোসা মাটিতে চাপা পরে প্রাকৃতিক জৈব সার হয়ে যায়।

আমাদের অপ্রয়োজনা জিনিস থেকেই জৈব সার তৈরি হয়ে যায়। আর এই ভাবেই জৈব সার তৈরি করবেন। কেমিক্যাল মুক্ত এই জৈব সার ফসলকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে।এর মধ্যে শরিষা খৈল গুড়ো গুড়ো করে মিশিয়ে জমিতে ছিটিয়ে দিলে। আমাদের ফসল সুন্দর ও বেশি হবে।সুন্দর হক আপনার ফসল।হাসবে জাতি সারা বছর। 





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েভারগোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url