বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা

বিটরুটের উপকারে আপনিও অবাক হবেন।এই ফল দেখতে কেশরের মতো কিন্তুু লাল।এই লাল রং এর সবজি আবার উপকার।আমরা অনেকেই জানিনা প্রাকৃতিক কত সবজি আছে।যা মানব দেহের জন্য অনেক উপকার।
হয়তো এখনো অনেকেই জানে না যে বিটরুট আবার কি সবজি ।এটা খেলেই বা, কি উপকার হয়।এই শীত মৌসুমের বিটরুট হাজার গুনে গুণান্বিত।বিটরুট সবজি ঔষুধি গুনে ভরপুর।অতিরিক্ত রক্তচাপের রোগিদের জন্য বিটরুট অনেক গুণ উপকারী।

সূচিপত্রঃ বিটরুট সবজি উপকারিতা

বিটরুট খাওয়ার নিয়ম

বিটরুট কাঁচা খেতে পারেন বা রান্না করে।কাঁচা বিটরুট কনো সবজির সঙ্গে রান্না করে খেতে পারেন।আরো বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যাই। বিটরুটে জুস বানিয়ে খেতে পারেন।স্মুদি ও সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন।যারা ওজন কমাতে চান তারা কিন্তু বিটরুটের হালুয়া বানিয়ে খেতে পারেন।এই বিট কিন্তু ওজন কমাতে অনেক সহায়তা করে।বিটরুটের বাব্যহার বিভিন্ন ভাবে করতে পারবেন আপনি যামন ভাবে চাইবেন।

বিটরুট কানো খাবেন

অতিরিক্ত রক্তচাপের রোগিদের জন্য বিটরুট অনেক গুণ উপকারী।বিটরুটে আছে নাইট্রেট, যা রক্ত নালী প্রসারিত করে এবং রক্ত চাপ কমিয়ে দেয়।রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বিটরুট খেলে আপনার শরীরের মেসমেসা ভাব দূর করে।আপনার ত্বককে করবে আরো উজ্জীবিত ও মুসলিন।আমরা হাত পা চুলকাই,চুলকানোর পর ঘা হয়ে যাই।ঘা যখন সুখে যায় তার পর কিন্তু একটা কালো দাগ থেকেই যাই।আপনি যদি এই বিটরুট কাচা নিয়ম করে খান।তাহলে আপনার এই ঘা এর কালো দাগ আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।আরো অনেক গুণ সম্পর্কে জানতে নিচে পড়ুন।

বিটরুট খাওয়ার উপকারীতা

বিটরুট একটি উপকারী ও ঔষধি সবজী।মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী সবজি এই বিটরুট।এই বিটরুট দেখতে সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে।এই বিটরুট ওজন কমানোর জন্য সেরা বলে মনে করা হয়।তবে অত্যাধিক পরিমান খেলে প্রস্রাব এর রঙ লাল ও গোলাপি হতে শুরু করে।তাই সীমিত পরিমান খাওয়াই ভালো।ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে বিটের জুস অনেক উপকারী। মেয়েদের অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা সমাধানে বিট অনেক উপকারে আসে।

বিট হার শক্ত করে ফলে বেশি বয়সে হারের সমস্যায় ভুগতে হয় না।মানসিক আবসাদ বা ডিপ্রেশন ঝুঁকি কমায় ও হার্ট সমস্যা দূর করে।এই বিট সবজিতে পচুর পরিমাণ ভিটামিন এ,ও এনটি অকসিডেন্ট থাকার কারনে রাত কানা রোগিদের জন্যে অনেক উপকারী। প্রতি দিন বিট সবজি খাওয়া রেটিনার ক্ষমতা বাড়াতে সহাতায় করে।বিট রস পান করলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমাদের মাথার চুল নিয়ে কত চিন্তা। চুল পরে যাচ্ছে চুল বাড়ে না চুলের আগা ফেটে যায়।তাদের জন্য বিট অনেক উপকারী সবজি।

 এই বিট খেলে চুল বড় হয় চুল পরা বন্ধ চুলের গোড়া শক্ত ও চুলের আগা ফাটা থেকে মুক্তি দায়।বিট সবজিতে পচুর পরিমান ফাইবার থাকার কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমে সমস্যা দুর করে।হজমে শক্তি বৃদ্ধি পায়।বিটে রয়েছে পচুর পরিমাণ আয়রন যা রক্তের হিমোগ্লোবিং পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।এবং রক্ত সল্পতায় ঝুঁকি কমায়।ও রক্তে কোলেস্টেরল বেড় করে। বিট জুস খেলে শরিরের টকসিন গুলো বেড় করে দায় ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ও লিভারে চর্বি জমতে দায় না।এই বিট জুস খেলে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

বিটরুটে যে ৭টি উপাদান রয়েছে

বিটরুট খনিজ উপাদানে ভরপুর
  • ভিটামিন এ
  • ভিটামিন বি ৬
  • ভিটামিন সি
  • আয়রন
  • জিন
  • আইও ডিন
  • ক্যালসিয়াম
  • ফাইবার
  • ম্যাগনিসিয়াম
  • ম্যাকানিক্স

বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম

বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম। আপনি গোটা একটা বিটরুট নিতে পারেন, আবার কেটে নিতে পারেন।কেটে নিলে ২৫০গ্রাম থেকে ৩০০গ্রাম নিতে হবে।গোটা নিল একটা নিতে হবে।গোটা বিটরুট নিলে,মানে ছাল বাকলা সহ নিলে। রসায়নিক দূর করতে হবে।রসায়নিক দূর করতে যা করবেন।প্রথমে আরাই লিটার পানি বয়ামে বা পট জাতীয় কিছু নিতে হবে।তার পর সেখানে ৫ এমএল এনজেম দিয়ে দুই ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে রসায়ন মুক্ত করতে হবে।

শুধু বিটরুটের ক্ষেত্রে না বাজার থেকে আনা সব শাক সবজি এই ভাবে খাওয়া উচিৎ। যাই হোক বিটরুট ছাল বাকলা সহ নিলে এই প্রছেস করতে হবে।আর ছিলে নিলে একটু ধুয়ে নিলেই হবে।তবে ছাল বাকলা সহ দিগুণ উপকার পাওয়া যাই।আপনি যে ভাবে খাবেন।এতো ঝামেলা না করতে চাইলে সহজ ভাবে তৈরি করুন।যে ভাবে তৈরি করবেন। একট পরিস্কার কাচের বয়াম নিবেন। তার পর
  • ১০০গ্রাম রাই শরিষা, মানে দেশি কলো শরিষা
  • ৫০গ্রাম সাদা তিল
  • ৩৫গ্রাম হিমালয় পিংছল
  • ২৫গ্রাম রাই পাউডার
  • ২চিমটি গোল মরিচের গুঁড়ো
  • ২চিমটি শুকনা মরিচের গুঁড়ো
  • ২চিমটি কাঁচা হলুদের গুঁড়ো
  • এক ইঞ্চি আদা কুচি কুচি করা
শরিষা ও তিল বেল্ডার করে নিবেন এক সাথে।তবে এমন ভাবে বেল্ড করবেন শরিষা যানো তেল না হয়ে যাই।মানে বেল্ডার অপ অন অপ অন করে করবেন।যানো দানা হয়ে থাকে।বেল্ড করা শরিষা ও তিল সহ যা যা উপকরন আছে সব কিছু বয়ামে দিবেন।তার পর বিটরুট ৩০০গ্রাম নিবেন।বয়ামে এক লিটার এলকাইন বা ফ্রেশ পানি নিবেন।তারপর একটু নারিয়ে নিয়ে ভিজিয়ে রাখবেন। বয়ামের মুখ টাইট করে লাগাবেন না।বয়ামের ভিতর বাতাস ঢুকতে পারে এমন ভাবে রাখবেন। বা কাপড় দিয়ে বয়ামের মুখ বেধে দিতে পারেন।তারপর ঘরের অন্ধকার কনো এক জাইগায় রেখে দিবেন।

আর হা ভিজিয়ে রাখলে কিন্তু টক হয়। ২ থেকে ৩ দিন রাখার পর একটু করে চেকে দেখবেন।কত টুকু টক হয়েছে মানে আপনি কতো টুকু টক খাইতে পারেন।সেই পরিমাণ হয়ে গেলে আপনি খেতে পারেন।ফ্রিজে রেখে ও খেতে পারেন আবার বাহিরে রেখে খেতে পারেন।আপনার ইচ্ছে। আর হা আপনি কিন্তুু সকাল থেকে বিকাল পযন্ত শুধু মাত্র ৫০ এমএল খেতে পারবেন।বেশি খাওয়া ঠিক না বা খাবেন না। এইটা একটু সময় নিয়ে খাবেন।আশা করি অনেক উপকার পাবেন।এই ভাবে তৈরি করে বিটরুট পাউডার খাওয়া নিয়ম।যদি আপনার ছিবো থাকে তাহলে খাবেন না। ধন্যবাদ

বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা

বিটরুট দিয়ে রূপচর্চা করুন ঘরে বসে।প্রথমে একটা বিটরুট নিতে হবে। সেটা ভালো করে ছাল ছারিয়ে গেটারে গেট করে চিপিয়ে রস বের করে নিতে হবে।রস আলাদা করে রেখে দিবেন।তার পর একটা বাটিতে বিট নিয়ে সেখানে এক চা চামিচ চালের গুরো টক দই ও চিনি দিয়ে ভালো করে মিশ্রণ করে নিবেন। ভালো করে মিশ্রন করে নিয়ে। আপনার মুখে হাতে গলায় ভালো স্ক্রল করতে হবে ২-৩ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন।তারপর দেখুন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।আগের থেকে একটু বেশি স্কিনটা ভালো লাগছে।
আপনি পার্লারে গিয়ে অনেক টাকা দিয়ে সেখানে কিন্তুু কেমিক্যাল জাতীয় প্রোডাক্ট ব্যবহার হয়। এসব ন্যাচারাল জিনিস দিয়ে যদি আমরা ঘরুয়া ভাবে করি। তাতে আমাদের স্কিনের কনো ক্ষতি হবে না।বরঞ্চ আমাদের স্কিনের উপকার হবে। আর ন্যাচারাল ভাবে এরকম ফেসিয়াল করতে গেলে আপনাকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। ব্যবহারের করে এক দিনেই তো আর রেজাল্ট সম্ভব নয়।দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার মুখের কালো দাগ ছোপ সব দূর হয়ে গেছে। এবার বিটের রস দিয়ে একটা ফেসিয়াল তৈরি করা উপায়।নাইট ক্রিম বিটের রস দিয়ে। মুলতানি মাটি একটু হলুদ টক দই কোকোনাট অয়েল নারিকেল তেল অ্যালোভেরা ।
  • মুলতানি মাটি স্কিনে অয়েল কন্ট্রোল করে
  • হলুদ আমাদের স্কিনের প্যাম্পল কমায়
  • অ্যালোভেরা স্কিনকে গ্লোয়াইন ও পুষ্টি দিবে
  • নারিকেল তেল স্কিনকে মশ্চারাইস করে
  • আর বিটের রস আমাদের স্কিনের কালো দাগ ছোব দূর করে
  • এই ন্যাচারাল নাইট ক্রিম কিভাবে তৈরি করবেন
  • অ্যালোভেরা দুই চামচ
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটা
  • বিট রসএকসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে
তারপর মোটা লেয়ার করে আপনার মুখে লাগিয়ে দিন। তিন থেকে চার মিনিট স্কল করুন হাত দিয়ে।এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করুন দেখবেন চেহারায় কোন দাগ ছোব কালছে ভাব আর নেই। আপনার ফেসটা সুন্দর মুসলিন হয়েছে। আপনি নিজে এই বিটরুট এর উপকারে মুগ্ধ হয়ে যাবেন।এই ছিলো আমাদের বিটরুটের ঘরোয়া রূপচর্চা।

বিটরুটের চাষ করবেন যে ভাবে

বিটরুট এই সবজি কিন্তুু বিদেশি। আমাদের বাংলাদেশে এখন অনেকেই চাষ করছে। এই বিটরুট বাংলাদেশে এখনো ভালোভাবে বিস্তার ঘটেনি।অল্প সংখ্যক কিছু কৃষক শুধু চাষ করছে।কৃষক যে তথ্য দিয়েছে তা তুলে ধরলাম এই পোস্ট এর মাধ্যমে।এই বিটরুট চাষের উপযোগী সময় শীতের কাল। কৃষক তথ্য অনুযায়ী সে বীজ সংরক্ষণ করেছে।তার এক ইতালি প্রবাসী ভাই থেকে।তার পর ৩৫ শতাংশ জমিতে চাষ করে বীজ রোপন করে। সাধারণত বিটরুট চাষে বেলে দূ আশ মাটি হলে ভালো হয়।জমিতে সবসময় রোদ থাকে এমন জমি হলে ভালো হয়।

এতে বিটরুটের কালার ভালো হয় ও রস। বীজ রোপনের ১৫ থেকে ২০ দিনের ভিতরে চারা হয়।কৃষকের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মুলা যেই ভাবে চাষ করা হয় একইভাবে বিটরুট চাষ করা হয়।মাটি থেকে চারা বের হবার পরে বেশ কয়েক বার পানির সেচ দিতে হয় ও সার বা কীটনাশক দিতে হয়।পানির ছেচ বেশি দিলে সবজীর কালার ভালো হয়। তার কয়েকদিন পর নিড়ানি দিতে হয়। সাধারণত তারপর আর কোন কাজ নেই। এই বিটরুট সবজি তিন মাসের ভিতরে খাবার উপযোগী হয়ে ওঠে।এই পর্যন্ত কৃষকের খরচ হয়েছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা।তথ্য সংরক্ষণ কৃষক।

বটরুট এর দাম কত

কৃষক পাইকারি মূল্য ৬৫ থেকে ৮০ টাকা। আর এই বিটরুট বাজার জাত করার পর খুরচা মূল্য ১২০ থেকে১৫০টাকা প্রতি কেজি নিয়ে থাকে দোকানী। তবে গুনমান মানে এ দাম অতি সামান্য। তবে দাম একটু কম বেশি হতে পারে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

বিটরুট উপকার নিয়ে আজ অনেক কথা বললাম। আপনারা এই প্রাকৃতিক নিয়ম করে খেতে পারেন আবার রূপচর্চাও করতে পারেন। আপনি চাইলে চাষ করতে পারেন বিটরুট। আপনি যদি চাষ করতে চান অবশ্যই যে কৃষক বিটরুট চাষ করে তার থেকে পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি নতুন আপনি অন্য কৃষককে ফলো করুন। আপনার অভিজ্ঞতা বেড়ে যাবে।আপনি বিটরুট চাষের সফল হবেন।এই পোস্ট চাইলে আপনি শেয়ার করতে পারেন বন্ধুর সাথে। এরকম তথ্য নিয়মিত পেতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। @rfin shuvo

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েভারগোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url