শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা

আমাদের সবারই বহুল পরিচিত শিমুল মূল। শিমুল মূল একটি ঔষধি উদ্ভিদ। এই গাছে মূলে রয়েছে নানাবিদ ঔষধি গুনাগুন। আমরা অনেকেই শিমুল মূলকে প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা বলে থাকি। এর বৈজ্ঞানিক নাম বমবক্স চেইবা ।

এই শিমুল গাছ অনেক বড় হয় যার উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ চীন এবং হংকং ও তাইওয়ানে ব্যাপক ভাবে এই গাছের চাষ হয়ে থাকে।

সূচিপত্রঃ শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা

যে সকল উপাদান রয়েছে শিমুল মূলে

উপাদানের নাম ও পরিমাণ
  • স্টার্চ~৭১.২%
  • আদ্রতা~৭.৫%
  • চিনি ~৮.২%
  • প্রোটিন~১.২%
  • চর্বি~০.৯%
  • খনিজ পদার্থ~২.১%
  • ট্যানিল~০.৯%
  • সেলুলোজ~২%
  • ক্যালসিয়াম~৯৩ মিলিগ্রাম /১০০গ্রাম

শিমুল মূল খাওয়ার উপকারীতা

আমাদের মধ্যে যারা বেশি সময় ধরে রক্ত আমাশায় ভুগছি। তারা যদি নিয়ম করে কয়েকদিন শিমুল মূলের পাউডারের সাথে ছাগলের দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে উপকার পাবেন। আমরা অনেকের হাতে পায়ে কপালে পিঠে ফোড়া দেখতে পায়।

এই ফোড়া অধিক যন্ত্রণাদায়ক এর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে শিমুল পাউডার অথবা শিমুল মূল ভালো করে পিষে নিয়ে পেস্ট বানাতে হবে।তারপর পরিষ্কার হাতে ক্ষতস্থানে লাগাবেন।অতঃপর কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবেন এই যন্ত্রণা দায়ক ব্যথা দূর হয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও এর ব্যবহারের ফলাফল অনেক সুন্দর ভাবে পেয়েছি।

শিমুল মূলের বেশি উপকারিতা

এটা খেলে ছেলেদের শুক্রানো অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়।শারীরিক দুর্বলতা ও যৌন দুর্বলতা উভয় দূর করতে  শিমুল মূলের পাউডারের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

তাছাড়াও যাদের ত্বকে ব্রণ এবং দাগ ছাপা আছে তারা এই শিমুল মূল ব্যবহার উপকার পাবেন।মেয়েদের সাদা স্রাবসাবের জন্য এটি একটি অনন্য উপাদান শিমুল মূল। মেয়েরা প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে দুই থেকে তিন চামিচ

 শিমুল মূলের পাউডার খাবেন ৭ থেকে ১০ দিনের ভিতর এর ফলাফল পাবেন। শিমুল মূলের ব্যবহারে কোষ্ঠকাঠিন্য পেটের গ্যাস হাত পা জ্বালাপোড়া ব্যথা অনেক রোগেরই সমাধান এই শিমুল মূলে।

শিমুল তুলার উপকারিতা

এতক্ষণ আমরা শিমুল মলের উপকার নিয়ে বললাম। আসুন জেনে নিই শিমুল তুলা দিয়ে আমাদের কি কি কাজ হয় বা কি কি উপকারে আসে এই তুলা। আমাদের দেশে যেমন এ তুলার কদর আছে।

তেমনি বাইরে দেশে এই শিমুল তুলার কদর আরো বেশি বিদেশিদের কাছে।এই গাছের মূল যেমন উপকার করে তেমনই তুলাও একই রকম ভাবে উপকর করে।আমাদের দেশে শীতকাল আসলে যেমন সোয়েটার লেপ কম্বল আমরা ব্যবহার করি। 

শিমুল তুলার লেপ আহা কি মজা যেমন নরম তেমনি উষ্ণতা। এই শিমুল তুলা দিয়ে যা কিছু তৈরি হয় যেমন বালিশ কোল বালিশ লেপ কম্বল গদি আরো কত রকমের শীতের গতিশীল বস্তুু।

শিমুল মূল চাষ করার পদ্ধতি

শিমুল মূল চাষ করার জন্য এক বিঘা উর্বর জমি লাগবে।খেয়াল রাখবেন মাটি যানো বেলে ও দুআষ হয়। জমিটা এমন জায়গায় হতে হবে যেখানে সব সময় রোদ থাকে। তারপর জমিটা চাষ করতে হবে। জমিটা চাষ হয়ে গেলে বীজ রোপন করতে হবে।বীজ রোপনের সময় চৈত্র ও বৈশাখ মাস। 

অবশ্যই বীজ কিন্তুু নতুন হতে হবে।এই বীজ গাছ থেকে সংরক্ষণ করতে পারেন আবার বাজার থেকেও সংরক্ষণ করতে পারেন। আসলে এতগুলা বীজ গাছ থেকে সংরক্ষণ করা আপনার চ্যালেঞ্জের মুখাপেক্ষী হতে হবে। অতএব বাজার থেকে কিনে আনায় উত্তম। প্রতি বিঘাতে বীজ লাগবে ২০ থেকে ২২ কেজি।

বেদানা ও ডালিমের পুষ্টিগুণ প্রতি কেজি বীজের মূল্য ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি নিয়ে থাকে দোকানী। বীজ রোপনের ১২ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে চারা বের হবে বীজ থেকে।চারা বের হবার পর জমিতে একবার পানির ছেচ দিতে হবে।পানির দেওয়ার এক ঘন্টা পর সার দিতে হবে। তারপর যখন শিমুল চারা এক ফিট করে লম্বা হবে।

 তখন আগাছাগুলো পরিষ্কার করে পানির ছেচ এবং সার দিতে হবে।অতঃপর চারা গুলো যখন আবার দুই ফিট মতো হলে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং পানির ছেচ ও সার দিতে হবে।এই তিন ধাপে প্রসেস করার পর বিশেষ আর কোন কাজ নেই।এই পর্যন্ত আসতে আপনার খরচ হবে ৮ হাজার থেকে ১২হাজার টাকা পযন্ত।

এখন শুধু অপেক্ষার পালা এই চারা তিন থেকে চার ফিট হওয়ার জন্য ১০ থেকে ১২ মাস সময় লেগে থাকে।দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এখন সময় এসেছে টাকা গুনার।এসেছে বেপারী দেখছে গাছ। দাখার পর বেপারী বললো কত দিবো।

আমি বললাম এত দেন বেপারি বললো না বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমি বললাম না ঠিক আছে দাম।অনেক কথার পর বেপারী বললো আপনার কথা ও থাক আমার কথাও থাক এক দাম ১,২০,০০০/=এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা। একদম প্রফিটইং ব্যবসা এইটা আমি নিজেও ট্রাই করছি। চাইলে আপনিও করতে পারেন।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আসলে আমি নিজেই শিমুল মূলের উপকার পাইছি। তার জন্যই আপনার সাথে শেয়ার করলাম। আমি নিজেই শিমুল তুলার অনেক কিছু বব্যহার করে থাকি। এখন আমি নিজেই এক বিঘা জমি নিয়ে চাষ শুরু করার নিয়ত করছি।

 শিমুল মূল নিজেও উপকৃত হব মানুষের উপকার হবে। অল্প বিনিয়োগ অধিক লাভ।আপনিও শুরু করতে পারেন আমার মতো।আজ এই পযন্ত ভালো থাকবেন।পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে পারেন।ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েভারগোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url